জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক আব্দুল মুমিন বাপ্পা হত্যার ৩ দিনেও লাশ ফেরত আসেনি। এ ঘটনার পর নিহত বাপ্পার বাবা আবদুল রউফ লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন করেন। লাশ ফেরৎ না পাওয়ায় আজ ২২ মার্চ সোমবার দূপুরে পূর্ব বটুলী গ্রামবাসী ফুলতলা বিজিবি ক্যাম্প ঘেড়াও করে। গত ২১ মার্চ দূপুরে ভারত সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে লাশ ফেরত নিতে বিজিবিকে চিঠি দেয় বিএসএফ। তখন বিজিবি লাশ নেওয়ার বিষয়টি পরে বিএসএফকে জানাবেন বলে পতাকা বৈঠকের সমাপ্তি করে চলে আসেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকা ভারতের কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার জানান, বিজিবি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিজিবিকে লাশ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। বিজিবি লাশ নেওয়ার ব্যাপারে পরে জানাবেন বলে বৈঠকে বলেন। সে অনুযায়ী আজ ২২ মার্চ দূপুরে নিহত বাংলাদেশী যুবক বাপ্পার লাশ নিয়ে বিএসএফ সীমান্তে অপেক্ষা করে। পরিবারের সদস্য গ্রামবাসী সীমান্তের জিরোপয়েন্ট এলাকায় বিএসএফ লাশ ফেরৎ দেয়ার বিষয়টি দেখতে পান। এর পরও বিজিবি লাশ ফেরতে কোন উদ্যেগ না নেয়ায় গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ঘেড়াও করে বিজিবি ক্যাম্প। একটি সূত্র জানায়, ২০ মার্চ সকাল ১১ টায় লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ভারতের কদমতলা পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে ধর্মনগর হাসপাপাতালে ময়না তদন্ত শেষে হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয় নিহত বাংলাদেশী যুবক বাপ্পার লাশ। সোমবার দূপুরে বিএসএফ একটি গাড়ীতে করে বাপ্পার লাশ সীমান্তের জিরো রেখায় নিয়ে আসে ফেরৎ দেয়ার জন্য এবং ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে। বিজিবির পক্ষে লাশ গ্রহন না করায় লাশ ফেরৎ নিয়ে যায়। লাশ ফেরৎ নেয়ার বিষয়টি দেখে নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিইও) শাহ আলম সিদ্দিকী এবং ফুলতলা ক্যাম্পের কমান্ডার দেলওয়ার হোসেনকে বার বার মোবাইলে কল দিলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য ২০ মার্চ শনিবার ভোরের দিকে উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী এলাকায় বাংলাদেশি পিলার ১৮২২ এর বিপরীত পাশে ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার অভ্যন্তরে ওই যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়। এদিকে নিহত বাপ্পার মা, বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী, সন্তান সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীর মধ্যে লাশের অপেক্ষায় চলছে আহাজারী।