গোলাপগঞ্জে পাকা সড়ক সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রাস্তা সংস্কার কাজে খোয়ার পরিবর্তে মাটি, ধুলো-ময়লা ও একেবারে নিম্নমানের ইটের খোয়া (কংকিট) ব্যবহার করা হচ্ছে। যেনতেনভাবে রাস্তা সংস্কারে গুণগত মান এতটাই খারাপ করা হচ্ছে যে এটা দেখতে মাটি ও আবর্জনার কাজ মনে হচ্ছে। এটা সড়ক সংস্কার না অর্থ লোপাট?
গোলাপগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ^ ব্যাংকের অর্থায়নে গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভাদেশ^র মোকামবাজার হতে পুরকায়স্থ বাজার, জামিটিকি, ঘোষগাঁও, গোলাপগঞ্জের কদমতলী পর্যন্ত ১৩ কি:মি: পাকা সড়ক সংস্কার কাজ পান এম.এ.এম.সি এবং এস.ই/জেবি ২৩৪ হলেন রোড দক্ষিণ খান ঢাকা-১২৩০ এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ।
সরেজমিনে বারকোট গ্রামের খর্দাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানিক মিয়ার দোকানের সম্মুখ রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, সংস্কার কাজে ১নং ইটের খোয়ার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরনো রাবিশ ও মাটি,ময়লা-আবর্জনা ও নিম্নমানের ইটের খোয়া। তড়িঘড়ি করে যেনতেনভাবে রুলিং করা হচ্ছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা সংস্কার কাজ ঠিকাদার ঠিকমত করছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন খারাপ থাকায় এলাকার লোকজন বিভিন্নভাবে খুবই কষ্ট করছিল। এখন যেভাবে রাস্তার কাজ হচ্ছে মনে হয় সামনের বৃষ্টির মধ্যে তা আবারো ভেঙ্গেঁ পূর্বের মত খানায় খন্দে পরিণত হবে। আর এসব বিষয়ে কথা বললে তাকে বিপদেও পড়তে হবে। আবার প্রায়ই দিন ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তা বন্ধ রেখে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে। এতে এলাকার লোকজনের ভোগান্তির শেষ নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক জন স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপসহকারী প্রকৌশলীর নির্দেশে সামান্য নিম্নমানের খোয়া সরালেও রাস্তার বেশিভাগ অংশে তা এখনো রয়েছে। এজন্য উধ্বর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কাজ তদারকি কাজে নিয়োজিত উপসহকারী প্রকৌশলী হোসেন আহমদ বলেন, গত রবিবারে আমি রাস্তাটি পরিদর্শন করে দেখেছি খোয়া গুলো খুবই নিম্নমানের এবং কিছুটা মাটি আছে। আমরা তা ব্যবহার না করে ফেরত পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছি।