দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ২০ মার্চ দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে শিকারির ১০ হাজার টাকা জরিমানা-খাঁচায় বন্দি ২০টি পাখি অবমুক্ত করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মোঃ ডালিম সরকার উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়ন নাজু মেম্বারের ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় ৬টি টিয়া পাখি, ৮টি ঘুঘু পাখি, ১টি পাতি সরালি পাখি, ৪টি ডাহুক পাখি ও ১টি তোতা পাখি উদ্ধার করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এনে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়। একই সময়ে অধৈভাবে পাখি বিক্রির করার দায়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন/২০১২ মোতাবেক উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ঝলঝলি গ্রামের হেজাত আলীর ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৩৮) নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ডালিম সরকার পাখি শিকারের উদ্ধারকৃত খাঁচা, পাখি ধরা ফাঁদ পুড়িয়ে দেন। একই সময়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পাখি গুলো অবমুক্ত করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ডালিম সরকার, বনবিভাগের রাজশাহী বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ রাহাত হোসেন, বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির, চট্টগ্রাম ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সর্প বিশেষজ্ঞ বোরহান বিশ্বাস রমন, বন মালী আব্দুর রহমান, সাংবাদিক ও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বনবিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ বন্যপ্রানী ও জীববৈচিত্র্য বিষয়ক সচেতনতা মূলক পথসভায় থাকা অবস্থায় ঠাকুরগাঁও সদরের সেচ্ছাসেবী ও ছাত্র কামরুল হাসান রাব্বি, আবু বক্কর আসিফের মাধ্যমে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদেরকে অবহিত করা হলে ও তারই নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মোঃ ডালিম সরকার অভিযান পরিচালনা করে দুপুরে পাখি গুলো উদ্ধার করেন।
বাংলাদেশ সরকারের আইন অমান্য করে বন্য পাখি সংরক্ষণ, ক্রয় এবং বিক্রয় করার অপরাধে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন/২০১২ মোতাবেক ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।