মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০দিনের অনুষ্ঠানমালার পর্দা উঠলো। বুধবার (১৭ মার্চ) বিকেলে শুভেচ্ছা বাণী পাঠান কানাডার প্রধান মন্ত্রী জান্টিন ট্রুডো।
ভিডিও বার্তায় তিনি কানাডার সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার আশা প্রকাশ করে বলেন, তার বাবার সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধু ১৯৮৩ সালে তার বাবার সাথে বাংলাদেশ সফরের মধুর স্মৃতিচারণ করেন এবং মন্ট্রিয়লের প্যাপিনো আসনের বাংলাদেশি-কানাডিয়ানেরা তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন, সে জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘আমি সব সময়ই গর্ববোধ করি, আজ থেকে ৫০ বছর আগে বিশ্বের অল্প যে ক’টি দেশ প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, কানাডা তাদের একটি। ’
তার ভিডিও বার্তার শেষ অংশে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ দিন দিন শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। ইকনোমিক গ্রোথ, অর্থনীতিতে বাংলাদেশি মেয়েদের এগিয়ে যাওয়া এবং বাংলাদেশ যেভাবে করোনা মোকাবেলায় সাফল্য অনস্বীকার্য।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার (১৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে শিশুদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে পর্দা উঠে ১০দিনের অনুষ্ঠানমালার। আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন পাঁচ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান। তবে বুধবারের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মূলত ১০ দিনের এ অনুষ্ঠান উদযাপিত হবে মুজিব চিরন্তন থিমের ওপরে। প্রতিদিন আলাদা আলাদা থিমে পরিবেশিত হবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা। সাংস্কৃতিক আয়োজন থাকছে ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে নানা আয়োজন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন আয়োজক কমিটির নীতিনির্ধারক আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠান শুরুতে শত শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে রবীন্দ্র সংগীত এবং নজরুল সংগীত পরিবেশন করে শিশুরা।