নাটোরের গুরুদাসপুরের অবৈধ ইটভাটার মাটি বহনকারী অবৈধযান ট্রাক্টর ট্রলির বায়ু ও শব্দ দুষনের প্রতিবাদ করায় দিনমুজুরকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে ভাটামালিকের স্বজনরা। সোমবার সকাল ১১ টার দিকে পৌরসদরের মধ্যম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভুগি,এলাকাবাসী ও অভিযোগের নথিসুত্রে জানাগেছে, পৌরসদর, ঘনবসতি আবাসিক এলাকা ও ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মান অবৈধ হলেও গুরুদাসপুর পৌরসদরের মধ্যমপাড়া অন্তত ৬টি ইটভাটা চলমান রয়েছে। প্রতিদিন ওই এলাকার সড়কপথে মাটি বহনকারী অন্তত ৫০টি ট্রাক্টর ট্রলি শত শতবার চলাচল করে। এতে শব্দদুষন ও বায়ুদুষনে অতিষ্ট হয়ে এলাকাবাসী মাঝেমধ্যে প্রতিবাদ করলেও ইটভাটা মালিকরা প্রভাবশালী,একারনে কোন প্রতিকার পাননা এলাকাবাসী।
সকালে শ্রমিক ওয়াজুল হোসেন ধুলো থেকে বাঁচতে পানি ছিটানোর কথা বললে পৌরসদরের চাঁচকৈড় মধ্যম পাড়ায় অবস্থিত এসএআর ব্রিক নামের একটি ইটভাটার মালিক হাজী জাকির হোসেন সোনারের ছেলে শাকিল সোনার,জাহাঙ্গীর সোনার,রুবেল সোনার ও আলিম সোনার দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে গুরুতর যখম করে।পরে স্থানীয়রা অয়াজুলকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে।
এঘটনায় দুপুরে অয়াজুলের মা জয়নব বিবি চার জনের নাম উল্লেখ করে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত শাকিল সোনার মোবাইল ফোন রিসিভ করেন নি। তার পিতা হাজী জাকির সোনার জানান,তিনি অসুস্থ্য বিষয়টি তার জানা নেই।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, অয়াজুল হোসেন রক্তাক্ত অবস্থায় পা,হাত,ঘাড়সহ শরীরে বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থেকে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান,অভিযোগ পাওয়া গেছে,খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।