ধর্মপাশায় এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে বন্ধ হলেও শেষরক্ষা হলোনা স্কুল ছাত্রীর

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলেও শেষে রক্ষা হলোনা সুবর্ণা আক্তার (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীর।
বাল্য বিয়ে দেওয়ার অপরাধে মেয়ের বাবার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু তালেব।
ওই বিয়ের বাড়ি থেকে চলে আসার পরপরই স্কুলছাত্রীকে বরের হাতে তুলে দিলেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা আল্লাদ মিয়া।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকালে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নে শরিশ্যাম বড়বাড়ি গ্রামে।
এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে,  উপজেলার শরিশ্যাম বড়বাড়ি গ্রামের আল্লাদ মিয়ার মেয়ে বাদশাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী সুর্বণা আক্তাররের সাথে পাশের নেত্রকোনা সদর উপজেলার দুর্গাশ্রম গ্রামের হাজী মো. মাহতাব মিয়ার ছেলে রিপন মিয়ার (২৯) সাথে শুক্রবার
বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা হয়েছিল।
এরই লক্ষে কনের বাড়িতে   ওই দিন বিয়ের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করা হয়।
বর পক্ষের লোকজনও কনের বাড়ির কাছা কাছি এসে পৌছে যায়।
এমন খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু তালেব পু্লিশকে সঙ্গে নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হন।
বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি তিনি সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে স্কুল ছাত্রীর বাবার কাছ থেকে বাল্য বিয়ে দিবে না মর্মে একটি মুচলেকা নিয়ে তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে চলে আসেন।
এদিকে বিয়ে বাড়ি থেকে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু তালেবসহ পুলিশ চলে আসার কিছুক্ষণ পরই বরযাত্রী এসে কনের বাড়িতে হাজির হয়।
তখন মেয়ের পক্ষের লোকজন তরিগড়ি করে বরের হাতে কনেকে তুলে দিয়ে বিদায় করে দেন।
শরিশ্যাম গ্রামের বাসিন্দা সেলবরষ ইউপি সদস্য মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, এসিল্যান্ড স্যার পুলিশ নিয়ে এসে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে মেয়ের বাবার কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে চলে যাওয়ার পরপরই মেয়েটিকে আইন অমান্য করে বরের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
এ  ব্যপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)  ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু তালেব বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি।  তবে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়