আমরা চেষ্টা করছি, রেল ব্যবস্থাকে আরো কীভাবে আধুনিক, যুগপোযুগী এবং মানুষের জন্য সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলা যায়। আর সেই জন্যই রাজশাহী থেকে আব্দুলপুর পর্যন্ত রেললাইন ডাবল করার পরিকল্পনা আমাদের হাতে আছে। ধীরে ধীরে প্রত্যেকটা লাইনকে আমরা ডাবল লাইন করছি। খুলনা থেকে দর্শনা পর্যন্ত রেললাইন ডাবল করতে ডিপিপি তৈরি কাজ চলছে। জয়দেপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল লাইন করার কাজ চলছে। যমুনা নদীর উপর ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন ব্রীজ হচ্ছে, সেই ব্রিজের উপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার মিটারগেজ ও ১২০ কিলোমিটার ব্রডগেজ গতি নিয়ে চলাচল করতে পারবে ট্রেন। আর কোন ট্রেনকে অপেক্ষা করতে হবে না, একদিকে ট্রেন যাবে, আরেক দিকে আসবে শুক্রবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার সময় রাজশাহীর রেল ভবন ও রেল স্টেশনের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে এই পরিকল্পনার কথা বলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। মন্ত্রী আরো বলেন, আপনারা যে রাজশাহী থেকে কলকাতা সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চান, সেটি শোনার জন্যই আমি এখানে এসেছি। এর আগে আমরা দাবির কথা শুনছি। সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ইতোমধ্যে ডিও প্রদান করেছেন, সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া লোকবল নিয়োগে রেলের নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ হাজার জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীর সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা, রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ, রাজশাহী রেলওয়ে শ্রমিকলীগ ওপেন লাইন শাখার সভাপতি আকতার আলী,সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান প্রমুখ। এর আগে সকাল সোয়া ১১টার দিকে রেল ভবনে রেলমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সিটি মেয়র, রেলওয়ের কর্মকর্তা ও রেল শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দরা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ জুলাই নাটোরের আব্দুলপুর হতে রাজশাহী পর্যন্ত সিঙ্গেল ব্রডগেজ রেললাইনটি ডাবল লাইনে উন্নীত করার জন্য রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বরাবর ডিও লেটার প্রদান করেন রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।