বিশেষ প্রতিনিধি এম এ মান্নানঃ
সুনামগঞ্জ
জেলার ধর্মপাশা উপজেলার হাওর অঞ্চলের সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষণা অমান্য করে,
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মা মাছ সহ মাছের প্রজন্ম ধ্বংস জজ্ঞে প্রতিযোগিতায়
নেমেছে, মৎস্য সম্পদ রক্ষার জন্য প্রশাসন নিচ্ছে না কোনো ব্যবস্হা। হাওরে
শুরু হয়েছে জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য সম্পদ নিধন। মৌসুম আসতে না আসতেই
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় অবস্থিত হাওর জুড়ে শুরু হয়েছে অধিকাংশ
বিল-জলমহালের তলা শুকিয়ে সমূলে মাৎস্য প্রজাতি নিধনের তান্ডব।
একের পর এক জলমহালে ড্রাই ফিশিংয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নিয়েছেন মধ্যস্বত্ত্বভোগি পরোক্ষ ইজারাদাররা।
জেলার
ধর্মপাশা উপজেলার সবকটি হাওরের ফেব্রুয়ারীর শুরু থেকে গ্রুপ জলমহালের বিলে
পাওয়ার পাম্প বসিয়ে পানি শুকিয়ে নিচ্ছেন ঐ জলমহালের সাব ইজারাদারা ।
জানাযায়
উক্ত গ্রুপ জলমহাল বা অভয়াশ্রমের জলাশয় জীববৈচিত্র্য ফিসারি গুলো চলতি
বাংলা সন হতে জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা এনে ধর্মপাশা উপজেলার সমবায় দপ্তর
নিয়ন্ত্রিত মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকরা। কিন্তু মৎস্য সম্পদ
কৌশলে বিনষ্ট করছে নাম দারি ইজারাদার কতৃক অধিক মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা।
ইজারা
প্রাপ্ত হবার পর এই সমিতিগুলার লোকজন জলমহালগুলি অপেশাদার
মধ্যস্বত্ত্বভোগিদের কাছে বেশি মূল্যে বাৎসরিক সাব ইজারায় বিক্রি করে দেন।
খোঁজ
নিয়ে জানা গেছে, জলমহালগুলি ইতিমধ্যে কয়েকগ্রুপ থেকে হাতবদল হয়ে লক্ষ লক্ষ
টাকার বিনিময়ে একবছরের জন্য বেচাকেনা হয়, বর্তমানে ধর্মপাশা উপজেলার
মধ্যনগর,চামরদানী, দক্ষিণ বংশিকুন্ডা,উত্তর বংশিকুন্ডা,জয়শ্রী,পাইকুরাটি
ইউনিয়ন সহ উপজেলার সবকটি ছোট বড় বিল শুকিয়ে বিলুপ্তি করছে বিভিন্ন প্রজাতির
মাছ, আর এ ধ্বংস জজ্ঞে ইজারাদারা জলমহালের ড্রাই ফিসিংয়ের কাজে পাওয়ার
পাম্প বসিয়ে পানি শুকাচ্ছেন।
এব্যাপরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৎস্যজীবি
সমবায় সমিতির সভাপতি, সম্পাদকরা জানান, জলমহালটি তারা মৎস্য আহরণের
স্বার্থে দ্বিতীয় পক্ষকে লিখিত চুক্তিতে ভাগীনামায় দিয়েথাকেন, তবে তলা
শুকিয়ে ড্রাই ফিসিং করে মাছ ধরার পক্ষপাতীত্ব তারা করেননা।
এবিষয়ে ধর্মপাশা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সানমুন হাসান বিপ্লব বলেন, তিনি ড্রাই ফিশিংয়ের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবেন।