পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বিএনপি জনগণের রায়কে ভয় পায়, তাই তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে। তারা জনগণ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। জনগণকে বিএনপি ভয় পায়। তবে তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বিএনপি প্রেস ব্রিফিং ও চক্রান্তকারী দলে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ কখনোই ভোট বর্জনের সংস্কতিতে বিশ্বাস করে না। শত প্রতিকূলতা ও বাধার মুখেও আওয়ামী লীগ অধিকাংশ ভোটে অংশগ্রহণ করেছিল। কারণ, এদেশের জনগণ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার সকালে শরীয়তপুরের সখিপুর থানার সখিপুর ইউনিয়নের ২,৩ ও ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলেনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি তাঁর বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মেজবাউদ্দিন ছৈয়ালের সভাপতিত্বে ও ৩নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক আক্তার মাদবরের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন, সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন মনু সরকার।
প্রধান অতিথি ছিলেন, সখিপুর থানা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন সরদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সখিপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, সহ-সভাপতি জিতু মিয়া বেপারী, কহিনুর সুলতানা দোলা, নাসির সরদার, কাঞ্চন সরকার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান মানিক সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদ বালা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন কাজী, দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রড় মিয়া, সহ-প্রচার সম্পাদক ইলিয়াস সরকার, সদস্য নাওয়াব মিয়া সরকার, আক্তার সরকার, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল আহম্মেদ পলাশ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক ওয়াসিম বেপারী, ছাত্রলীগের সভাপতি সোমেল সরদার। প্রধান বক্তা ছিলেন, সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাব্বির হোসেন মাদবর।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়েছেন। তাঁর সুযোগ্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন, অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের জনগণ উন্নয়নে বিশ্বাসী। তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে বিশ্বাসী না। জনগণ বিএনপির দুঃশাসনের কথা ভোলে নাই। তাই বিএনপি স্থানীয় নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, তৃণমূলই আওয়ামীলীগের প্রাণ। তাই দলের তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে হবে। কারণ, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগকে কেউ হারাতে পারে না।