নব্বই দশকে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম সোনালি বেন্দ্রে। ‘সারফারোশ’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘জখম’ ও ‘কাল হো না হো’-এর মতো দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।সোনালি অভিনীত প্রথম সিনেমা মুক্তির পর তার প্রেমে পড়েন পলিটিশিয়ান রাজ ঠাকরে। সোনালির সৌন্দর্য তাকে বারবারই মুগ্ধ করেছে। সোনালির সঙ্গে পরিচয়ের আগেই বিবাহিত ছিলেন রাজ। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করে সোনালিকে বিয়ে করতেও চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার এ ভালোবাসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান রাজের কাকা বাল ঠাকরে। রাজনৈতিক দলে কালি লাগবে—এমন কোনো কাজ যেন না করে, তা রাজকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন বাল ঠাকরে। আর কাকার অবাধ্য হওয়ার সাহস রাজের ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই মনে পাথর বেঁধে সোনালির কাছ থেকে দূরে সরে আসেন তিনি।
২০১৮ সালে হঠাৎ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর থমকে যায় তার জীবনের গতি! মৃত্যু যেন তার থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়েছিল! কিন্তু ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছেন এই অভিনেত্রী। তিনি এখন চলচ্চিত্রে নেই বললেই চলে, সংসার নিয়েই তার যত ব্যস্ততা। নব্বই দশকে সোনালির রূপে মুগ্ধ ছিল প্রায় গোটা বলিউড। তার অসংখ্য অনুরাগী ছিল। একাধিক তারকা তার প্রেমে মশগুল ছিল! কিন্তু ২০০২ সালে সেসব প্রেমিকের মন ভেঙে দিয়ে দীর্ঘদিনের বন্ধু গোল্ডি বহেলকে বিয়ে করেন সোনালি। তার বর একাধারে পরিচালক-প্রযোজক। তাদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ওই সময়ে সোনালি বেন্দ্রে ও অভিনেতা সুনীল শেঠি দারুণ জনপ্রিয় জুটি ছিলেন। একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তারা। আর অভিনয়ের সুবাদেই তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ হন। সোনালি-সুনীল বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। কিন্তু এই ভালোবাসা দুজনকে গোপন রাখতে হয়েছিল। কারণ সোনালি জানতে পেরেছিলেন সুনীলও বিবাহিত। ছেলেবেলার বান্ধবীর সঙ্গেই সংসার পেতেছে সুনীল। তাই সোনালি চাননি সেই সাজানো সংসার তার কারণে ভেঙে যাক।
এরপর সোনালির সঙ্গে নাম জড়ায় নামজাদা এক ক্রিকেটারের। তার বলের গতি প্রতিপক্ষের মনে ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট ছিল! তিনি হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতার। শোয়েবও সোনালির প্রেমে পাগল ছিলেন। সোনালির ছবি নাকি পার্সে নিয়েও ঘুরেবেড়াতেন। তবে শোয়েবের প্রেম ছিল একতরফা। তাকে নিয়ে সোনালির কোনো কৌতূহল ছিল না। জানা যায়, শোয়েব মনেপ্রাণে সোনালিকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।