লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ১নং দূর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামে জনবসতিপূর্ন এলাকায় মুরগীর খামারের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীসহ মসজিদে নামাজি মুসল্লীগন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাড়ীর মধ্যে এমন মুরগীর খামার গড়ে তোলায় ওই এলাকার বাসিন্দারা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খামারটি পরিচালিত হলেও তাদের নেই কোনো পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। স্থানীয়রা বারবার ফার্ম মালিকের সঙ্গে পরিবেশ সম্মত জায়গায় ফার্ম স্থাপনের পরামর্শ দিলেও তারা মানছে না।এ বিষয়ে উত্তর গোবধা ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃআশরাফুল আলম নয়ন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদ্বয় বিষয়টি মৌখিক খামার মালিককে তার মুরগির ফার্মটি জনবসতি এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও আজ প্রর্যন্ত সরিয়ে নিচ্ছেন না। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, অন্যত্র পর্যাপ্ত যায়গা থাকা সত্বেও কেবল প্রতিহিংসার বসবর্তী হয়েই বেশ কিছু দিন ধরে কোনো রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে, প্রথমে ব্রয়লার মুরগী পালন করলেও, বর্তমানে লেয়ার মুরগীর খামার স্থাপন করে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন ওই এলাকার মৃত তাহের মিয়ার ছেলে মোঃমহব্বত আলী। ফলে খামারের মুরগী এবং এর বিষ্ঠার দুর্গন্ধে ওই এলাকায় চলাফেরা এবং বসবাস করা দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে।জানা গেছে খামারের ১০০ গজের মধ্যে রয়েছে এদেশের বীর সন্তান দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ১.বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু আব্দুল লতিফ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু আলম মিয়ার বাড়ি। ২০০ গজের মধ্যে রয়েছে মাষ্টার পাড়া জামে মসজিদ। খামারের ভিতরে এবং খামারের চারপাশে পড়ে থাকা ময়লায় মশা-মাছি বাসা করে, মশা-মাছির সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের পোকার সৃষ্টি করছে। দূষিত মশা-মাছি খাবারে পড়ে এবং সেই খাবার খেয়ে সব বয়সের মানুষ বিশেষ করে শিশুরা ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এসব দুর্গন্ধের কারণে সবসময় নাকে রুমাল বা কাপড় দিয়ে থাকতে হচ্ছে এবং পথ চলতে হচ্ছে মানুষের। পঁচা দূর্গন্ধে বিষিয়ে উঠছে জনজীবন। যেকোন সময় ডাইরিয়া-কলেরার মতো মহামারী হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটছে এলাকার ভুক্তভোগীদের। স্থানীয় কয়েকশত মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে বলেও এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগ করেছেন ওই গ্রামের মোঃআশরাফুল আলম নয়ন মোঃরেজাউল মোঃখলিলুর রহমান মোঃসোহাগ মিয়া।শুধু তাইনা দূর্গন্ধের কারণে বর্তমানে ওই এলাকায় বাহিরের কোন আত্মীয়-স্বজন আসলে পরতে হয় দিধাদন্দেবিষয়টি স্থানীয় ভাবে কয়েক দফায় জানানোর পরেও খামার ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছেনা কোন ধরনের পদক্ষেপ। বিপরীতে এলাকাবাসীকে দেওয়া হচ্ছে ভয়ভীতি ও নানা ধরনের হুমকি-ধামকি। এমনকি খামারটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কথা বলায় খামারী সব সময়ে দ্বন্দ্ব ফেসাদ সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা ধরনের উষ্কানিমুলক কথাবার্তাও বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। ফলে যে কোন সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কাও করছেন এলাকাবাসী।করোনার এই মহাদুর্যোগকালীন সময়ে দূর্গন্ধ ও মশা-মাছির থেকে ছড়ানো ডাইরিয়া-কলেরার মতো মহামারীর হাত থেকে ওই এলাকার পরিবেশ রক্ষা করাসহ মুরগীর খামারটি অন্যাত্রে স্থাপনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক / উপজেলা নির্বাহী অফিসার আদিতমারী /পরিবেশ অধিদপ্তর লালমনিরহাট /ওসি আদিতমারী থনা মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা ও মসজিদে নামাজি মুসল্লীগন।