রাজশাহীতে দ্বিতীয় দিনের বাস ধর্মঘট, দুর্ভোগে যাত্রীরা

রাজশাহী মহানগর থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীরা। পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলছেন, বগুড়ার এক সংঘর্ষের জেরে এই বাস ধর্মঘট। বিএনপির দাবি দেশব্যাপি নিদর্লীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন ও ভোট চুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে যাতে লোকজন আসতে না পারে সেজন্যই বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমাবেশের আগের দিন বিকেলে বিএনপি একটি কমিউনিটি সেন্টারে সমাবেশের অনুমতি পায়। বিএনপি নেতারা বলছেন, এই সামান্য জায়গায় বিএনপি’র মত একটি বড় দলের সমাবেশ হওয়া অসম্ভব। সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করে বিএনপি। আর একদিন আগে থেকেই বাস বন্ধ করে দেয়া হয়। বাস বন্ধ থাকার কারণে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া-আসা যাত্রীরা। কাজে যারা বাইরে যেতে চান তারাও যেতে পারছেন না। বিকল্প যানবাহন নিয়ে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও সেটি অনেকের ক্ষেত্রেই হচ্ছে না। নগরেও মানুষের এখন চাপ নেই। বাস বন্ধ থাকার অজুহাতে ছোট ছোট যানবাহনগুলো ভাড়া আদায় করছে বাড়তি। জিম্মি করা হচ্ছে বলেই তারা মনে করছেন। না প্রকাশ করার শর্তে এক যাত্রী বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের প্রোগ্রাম উপলক্ষে বাস বন্ধ করে দেওয়া অগণতান্ত্রিক। লোকসমাগম ঠেকাতেই যদি বন্ধ করা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের পথ কেন বন্ধ করা হলো। নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে না পারার কারণে মানুষের দুইদিন যে ক্ষতি হলো তার দায় কে নেবে। তবে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলছেন, বগুড়য়া বাস শ্রমিককে মারধর করার প্রতিবাদে বাস বন্ধ রয়েছে। এর আগে খুলনার সমাবেশের আগেও বাস বন্ধ ছিল। বাস বন্ধ থাকায় ট্রেনের উপর কিছুটা চাপ বেড়েছে। অন্যান্য ছোট ছোট যানবাহনেও মানুষকে যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছে। অনেকেই রিক্সায় অটোরিক্সা ও টেম্পুতে চড়ে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। বাস বন্ধ প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, বগুড়ায় পরিহন শ্রমিক ইউনিয়নের বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির একটি প্রতিবাদ সভা ছিল গত ১৪ ফেব্রæয়ারি। সেখানে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়। চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এর প্রতিবাদে সেদিনই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু মাঝে পৌরসভা নির্বাচনের জন্য ধর্মঘট শুরু করা হয়নি। নির্বাচন শেষ হওয়ামাত্র ধর্মঘট শুরু হয়েছে।