ফাল্গুনের ছোঁয়ায় ফাগুন সেজেছে, পলাশ শিমুলের বনে লেগেছে আগুন রঙা ফুলের মেলা। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে কয়েকদিন হল আবারো ফিরে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। মাঘের শীত শেষে বাড়তে শুরু করেছে উষ্ণতা। তাপমাত্রার সঙ্গে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় আমের গাছে গাছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মুকুলের সমারোহ। থোকা থোকা মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে আম গাছের ডালপালা।
এবছর বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আর আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। মুকুলের সমারোহ দেখে আম চাষীদের মনে-প্রাণে আনন্দ বইছে। অনেকেই বাসার ও বাগানের আমের মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছরের তুলনায় আম বাগান বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রায় ১০০হেক্টর জমিতে আম চাষ হয় এবং বসত-বাড়িতে প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাকেরহাট, পাঁচপীর ও মাদারপীর গ্রামের আম গাছে প্রচুর মুকুলের সমারোহ এবং কোথাও কোথাও আম বাগানে সাথী ফসল চাষ করা হচ্ছে। এতে কৃষকরা ভালোই লাভবান হচ্ছে এবং আম চাষে উৎসাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাকেরহাট গ্রামের আম চাষী মমিনুল ইসলাম বলেন, এবছর আম গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বিগত সময়ের চেয়ে এবছর ফলন ভালো হবে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসুদেব রায় জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আম গাছে ব্যাপক মুকুলের সমারোহ আর গাছে মুকুল এসেছে কিন্তু ফুল ফোটে নাই,মটর দানার মত ও মার্বেল আকার এই তিন অবস্থায় অনুমোদিত একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক স্প্রে করতে পারলে আমের আরোও ভালো ফলন পাওয়া যাবে।