ঠাকুরগাঁওয়ে নীলগাই আটক

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নাগর নদী তীরে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি কালো রঙ্গের পুরুষ নীলগাই আটক করেছে স্থানীয়রা। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া শালডাঙ্গা এলাকায় পথচারীরা বিলুপ্ত প্রজাতির নীলগাই দেখতে পায়। তারা আশপাশের লোকজনকে নিয়ে সেটিকে ধরার চেষ্টা করলে নীলগাইটিকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটকের পরে তারা নীলগাইটির নাক ও গলায় দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।

খবর পেলে বালয়িাডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও স্থানীয় কান্তিভিটা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়। নীলগাই আটককারীরা নীলগাইটিকে হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানালে বিজিবি সদস্যরা নীলগাইটি নিজেদের হেফাজতে নেয়।
পারিয়া এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী জালালউদ্দীন বলেন, দ্রুতগতিতে আসা নীলগাইটি অর্ধশতাধিক লোকজন মিলিত হয়ে উদ্ধার করে পা বেঁধে নিরাপদে রাখে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পারিয়া শালডাঙ্গা এলাকার তুষার বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে সীমন্তবর্তী নাগর নদীর আশপাশে জঙ্গলে নীলগাইটি অবস্থান করছিল। জঙ্গলের পাশে ফসল নষ্ট করলে কয়েকজন মিলে নীলগাইটিকে ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায়। পরে আটক করতে সক্ষম হয়।
ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ বলেন, বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির নীলগাইটি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় পাড়িয়া শালডাঙ্গা এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় বিজিবির কাছে রয়েছে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নীলগাইটির যেন কোন প্রকার সমস্যা না হয় সে বিষয়ে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। দ্রুত সময়ে দিনাজপুর জাতীয় উদ্যানে নীলগাইটিকে পাঠানো হবে।
এর আগে, ২০১৭ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার যদুয়ার এলাকায় ধূষর রঙ্গের একটি স্ত্রী নীলগাই উদ্ধার করা হয়েছিল। যা দিনাজপুর জাতীয় উদ্যানে ৪ দিন পরে মৃত বাচ্চা প্রসব করেছিল। সেই নীলগাইটি ৩ মাস পরে মারা যায়। পরের বছর রাজশাহী বিভাগে আরেকটি কালো রঙ্গের পুরুষ নীলগাই উদ্ধার করা হয়। সেটি দিনাজপুর জাতীয় উদ্যানে থাকার পরে বর্তমানে সাফরি পার্কে রাখা হয়েছে। বর্তমানে নীলগাইয়ের সংখ্যা দুটি।