রাজশাহীর বাগমারার সুইটি খাতুন এখন তৃতীয় স্বামীর ঘরে। পরকীয়া প্রেমের টানে সুইটি খাতুন (২৯) নামে ওই গৃহবধূ বিদেশ ফেরত এক যুবকের সাথে উধাও হয়েছে বলে জানাগেছে। এই ঘটনার পর সুইটি খাতুন দ্বিতীয় স্বামীকে ৩ মাস আগের বিচ্ছেদ বা তালাক নোটিশ প্রেরণ করেছে। এদিকে সুইটি খাতুনের পিতা মুনতাজ আলী, ভাই সাগর আলীসহ কতিপয় দুস্কৃতিকারী দ্বিতীয় স্বামী শাহিনুর রহমানকে জোরপুর্বক মুখ বেধেঁ মারপিট করে ২ শত টাকার ফাঁকা স্ট্যাম্পের উপর স্বাক্ষর নিয়ে ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করছে। এ ঘটনায় শাহিনুর রহমান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌর সভার কর্ণিপাড়া মহল্লার শাহিনুর রহমান গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের কনোপাড়া গ্রামের মুনতাজ আলীর কন্যা সুইটি খাতুনের সাথে দুই লক্ষ টাকা দেন মহুর ধার্য্য ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল মাসে বিয়ে হয়। উভয়ের মধ্যে দীর্ঘ দিন ঘর সংসার চলে। বিয়ের ৩ বছর পর সুইটি খাতুন প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে কৌশলে বাড়ি থেকে নগদ টাকা পয়সা ও সোনার গহনা নিয়ে পাশ্ববর্তি নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফয়তাপুর গ্রামের বিদেশ ফেরত আব্দুল মমিনের (২৯) সাথে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাবার পর তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি। বিষয়টির কয়েক দিন পর সুইটি খাতুন ৩ মাস আগের তারিখ দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের তালাক নামা নোটিশ স্বামী শাহিনুরকে প্রেরণ করে। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, সুইটি খাতুন ইতো পূর্বে একই ভাবে বিয়ের নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সুকৌশলে আগের স্বামীকে ছেড়ে দেয়। একই ভাবে দ্বিতীয় স্বামীকেও। এদিকে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সংসার করলেও পূর্বের মতো পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে সুইটি খাতুন। দ্বিতীয় স্বামীকে বø্যাক মেইল করার জন্য নাটক সাজাই সুইটি। স্বামীর সাথে সংসার করা অবস্থায় তিন মাস পূর্বে তালাক প্রদান করেন। তিন মাস আগে তালাক দিলেও তৃতীয় স্বামীর কাছে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেটার বিষয়ে কোন কিছুই জানাননি সুইটি খাতুন। পারকীয়ার টানে উধাও হওয়ার কিছু দিন পরে দ্বিতীয় স্বামী শাহিনুর রহমানের নিকট পৌঁছায় সুইটির দেয়া তালাম নামা। এই ঘটনার পর গত ১৪ ফেব্রæয়ারী শাহিনুর তাহেরপুর হতে বাসা ফেরার পথে সন্ধ্যায় রামরামা সড়কের উপর তাকে একা পেয়ে নিখোঁজ সুইটি খাতুনের পিতা মুনতাজ আলী, ভাই সাগর আলীসহ ৪/৫ জন দুস্কৃতিকারী জোরপুর্বক মুখ বেধেঁ মারপিট করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ২ শত টাকার ফাঁকা স্ট্যাম্পের উপর স্বাক্ষর নেয় এবং তাকে ভয়ভীতি দেখায়। এ সময় হঠাৎ করে স্থানীয় জানিপুর মহল্লার সাহাদত আলীর ছেলে ফরিদ হোসেন ও দরগামাড়িয়া মহল্লার গোলাম হোসেনের ছেলে লিটন মিঞা এগিয়ে আসলে দুস্কৃতিকারীরা চলে যায়। এই ঘটনার পর থেকে তিনি নিরাপত্তায় ভোগছেন। এছাড়া উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ফাঁকা ২ শত টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসাতে পারে এমন আশংকায় ভোগছেন শাহিনুর রহমান ও তার পরিবার। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পুর্বক বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে শাহিনুর রহমান। সেই সাথে দ্রæত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এ ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জোরপুর্বক স্বাক্ষর নেয়ার একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং বিষয়টি তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।