মেনু

আগামী ৫/১০ বছরের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের হারিকেন নিয়ে খোঁজা লাগতে পারে- বীর মুক্তিযোদ্ধা আসম আব্দুর রহিম পাকন

// বিশেষ প্রতিনিধিঃ 

আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছিলাম জন্যেই আজ এই চেয়ারে বসতে পেরেছি। সাইদুল হক চুন্নু মহোদয় যখন প্রশাসক ছিলেন তখন পাবনা জেলাপরিষদে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেয়া হতো। কিন্তু পরবর্তীতে দৈবিক কারণে এটা জেলা প্রশাসনের হাতে চলে যায়। এখনও সেই গতিতেই চলছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মতিতে এবার আমরা জেলা পরিষদের সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননার সাথে আমাদের কিছুটা অংশিদারিত্ব থাকুক। সরকারের নীতিমালায়ও জেলাপরিষদের সম্মাননার কথা উল্লেখ আছে। আমি আসার পর সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে আমরা থাকবো।

আজ মঙ্গলবার ২৬ মার্চ বেলা ১২ টায় জেলাপরিষদের রশিদ হলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পাবনা জেলাপরিষদ কর্তৃক অসুস্থ ও অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আসম আব্দুর রহিম পাকন এসব কথা বলেন। 

তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে আরও বলেন আগামী ৫/১০ বছরের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের হারিকেন নিয় খোঁজা লাগতে পারে।কেননা প্রতিনিয়ত কেউনা কেউ এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন এবং ২৭ জনের মত অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। যে কোনও সময় খবর আসতে পারে তারা আর এ পৃথিবীতে নেই।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অতুল মন্ডলের সভাপতিত্বে এ সম্মাননা অনুষ্ঠানে ৫৭ জন বীরের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে নগদ ১লক্ষ ৭১ হাজার টাকা সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সোহেল, সদস্য আইরিন কিবরিয়া কেকা, সহকারী প্রোকৌশলী আলতাফ হোসেনসহ পরিষদের সকল কর্মকর্তা – কর্মচারীবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ।

প্রধান সহকারী মতিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত দিয়ে। তিলাওয়াত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ। তারপর সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট দাড়িয়ে  নিরবতা পালন করা হয়।

এরপর যুদ্ধকালিন সময়ের স্মৃতিচারণ করে শুভেচ্ছা  বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান, মহরম আলী ও রিয়াজ উদ্দিন।