ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান আজ থেকে শুরু হয়েছে

এস এম আলম :: পাবনায় আজ থেকে পাবনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাবনা অঞ্চলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম সারা দেশের ন্যায় পাবনায় ঐতিহ্যবাহি ইছামতি নদীর দুপারের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছেন জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে পাবনা শহরের হাউজপাড়া এলাকার ইছামতির দুপাড় থেকে এই অভিযান শুরু হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনা অফিস সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পাবনার ঐতিহ্যবাহি ইছামতি নদীর পৌর এলাকার দুই পাড়ে ২৮৫ জন অবৈধ দখলদারেরা বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে নদীটি মরা খালে পরিণত করেছিল। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় পাবনা শহরের ৮ কিলোমিটার ইছামতি নদীটি দখলমুক্ত করার জন্যই জেলা প্রশাসন কাজ করছেন। ১ম ধাপে হাউজ পাড়া ব্রিজ থেকে মন্ডলপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত ২কিলোমিটার উচ্ছেদ করা হবে। জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ জানান, ৬৪ জেলার সরকারী নির্দেশনার অংশ হিসেবে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। পাবনাবাসী সহযোগীতা করলে দ্রুত ইছামতি নদী দখলমুক্ত করে প্রবহমান করা হবে। ইছামতি নিয়ে মেগা প্রজেক্ট এর কথাও জানান জেলা প্রশাসক। তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, পাউবি, পাবনা এসএম শহিদুল ইসলাম জানান, ইছামতির নদীর দু,পাড়ের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। প্রাথমিক বরাদ্ধ ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে তারা উচ্ছেদ অভিযানের কাজ শুরু করেছেন। তিনি উচ্ছেদকৃত পরিবারের অভিযোগ প্রত্যাখান করে বলেন, হাইকোর্টের রায়ে সিএস রেকর্ড অনুযায়ী উচ্ছেদ করার নির্দেশনা রয়েছে। সিএস রেকর্ডের নদীর মাপ ঠিক রেখে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

বিপুল সংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিতিতে প্রায় তিন ঘন্টা ব্যাপী এ অভিযানে বড় বড় দ্বিতল এবং তিনতলা ভবন সহ ৮০ টি অবকাঠামো ভেঙ্গে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৫ একর সরকারী স¤পত্তি। যার অনুমানিক বাজার মুল্য প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষ। জেলা প্রশাসন জানায়, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে ইছামতির ৩৩৪ জন তালিকাভুক্ত অবৈধ দখলদারসহ গোটা জেলায় প্রায় সহস্রাধিক অবকাঠামো উচ্চেছদ করা হবে।